বারো বছরের বনবাস দুই বছরের অজ্ঞাতবাস। সব মিলিয়ে ১৪ বছর। এক্কেবারে অজ্ঞাতবাস সেরেই যেন দক্ষিণবঙ্গে শেষে পর্যন্ত পৌঁছল বর্ষা। গত ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিতে রেকর্ড দেরীতে দক্ষিণবঙ্গে এসেছে বর্ষা। আর সেটাই যেন মনে করাচ্ছে মহাভারতের কাহিনীকে।
২০১৯ ২১ জুন, দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে বর্ষা। হাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে এর আগে ২০০৫ সালের ২০ জুন সবচেয়ে দেরিতে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসেছিল। তারপর সেই রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে এই বছরে বর্ষার রেকর্ড দেরী। যা নিয়ে চিন্তিত আবহাওয়াবিদরা।
সব মিলিয়ে ১১ দিন বর্ষা দক্ষিবঙ্গে আসতে দেরী করল। গতকাল বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল শুক্রবার বর্ষা আসবে দক্ষিণবঙ্গে। সেই মতোই সকাল থেকেই আকাশে কালো মেঘ নাগাড়ে বৃষ্টি চলছিল। দুপুর ১২.৩০ নাগাদ হাওয়া অফিস জানায় অবশেষে বর্ষা এসেছে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে মৌসুমি অক্ষরেখাটি জামশেদপুর, আসানসোল, পূর্ণিয়া হয়ে গিয়েছে। সেদিক থেকেই বর্ষা ক্রমে পূর্ব থেকে পশ্চিমের দিকের জেলাগুলির দিকে এগিয়ে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে , উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বর্ষা এসে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের খুব দুটি জেলা পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের কিছু অংশ ছাড়া পুরো দক্ষিনবঙ্গকেই তা ঢেকে ফেলেছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ শনিবার ওই অল্প দুটি অংশও বাকি থাকবে না। সেখনেও চলে আসবে বর্ষা। এর জেরে আগামী তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই।
স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণবঙ্গের অঙ্গ হিসাবে কলকাতাতেও বৃষ্টি হবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গনেশ কুমার দাস বলেন , “উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করেছে। যার জন্য দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলিতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তারপর বৃষ্টি বাড়তে পারে।” এবার সময়ের সঙ্গে বর্ষা কেমন প্রভাব ফেলে সেদিকেও তাকিয়ে আবহবিদরা।
এদিকে শুক্রবার কলকাতার আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ যথারীতি ৯৬ শতাংশ সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ। বৃহস্পতিবার শহরের আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। মঙ্গলবার তা ছিল সর্বোচ্চ ৯৫।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আর্দ্রতা না কমলেও প্রায় দুই ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছে সকালের তাপমাত্রা। এটাই চিন্তার কারণ । সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২.৫ মিলিমিটার।
উত্তরবঙ্গেও ১৭ জুন নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১১ দিন পর বর্ষা প্রবেশ করে বাংলায়। নিয়ম মেনে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর একটা অংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে অসমের গোয়ালপাড়া, আলিপুরদুয়ার ও গ্যাংটকের দিয়ে প্রবেশ করে।
প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ ব্যবহার করে চলত দুর্নীতি! আরো পড়ুন
মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে গণ টোকাটুকির অভিযোগ উঠেছে অনেক বারই। আরো পড়ুন
পাঁচ দিনের মিনি শীতের স্পেল শুরু হয়ে গেল বৃহস্পতিবার থেকে। আরো পড়ুন
কলকাতা এবং বিধাননগর এলাকায় কোনও হুক্কা বার বন্ধ করা যাবে না— জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আরো পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশ কয়েকটি দফতরের সচিব পর্যায়ে রদবদল ঘটানো হয়েছে। আরো পড়ুন
কুবেরের ধন মিলল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানা, গুদাম এবং চালকল থেকে। আরো পড়ুন
যত সময় গড়াচ্ছে ততই বিপদ বাড়ছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) যোশীমঠে (Joshimath)। আরো পড়ুন
শুক্র, শনি, রবি, সোম এই চারদিনে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আরো পড়ুন