বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট। তার আগে, বুধবার কর্নাটকের বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত স্পিকারের উপরেই ছাড়ল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে বিধায়কদের হাজিরায় যে জোর করা যাবে না তাও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মঙ্গলবার, মামলাটি শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। বিদ্রোহী বিধায়কদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, স্পিকার বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখতে পারেন না। এক জন রাজনৈতিক দলের সদস্যের মতো আচরণ করতে পারেন না তিনি। বিধায়কেরা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন কি না তাই কেবলমাত্র দেখা উচিত। রোহতগির অভিযোগ, কর্নাটকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার। আর সরকার বাঁচাতেই বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না বিধানসভার অধ্যক্ষ। স্পিকারের সাংবিধানিক ক্ষমতার কথা বলে পাল্টা যুক্তি দেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। তাঁর দাবি, কোনও বিষয়ে নির্দিষ্ট পথে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জন্য স্পিকারকে নির্দেশ দেওয়া যায় না।
কুমারস্বামীর আইনজীবীর রাজীব ধবনের যুক্তি, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফার পিছনে আসলে একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের সামনে রেখে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শীর্ষ আদালত যাতে এঁদের কথায় গুরুত্ব না দেয়, সেই আর্জিও জানান ধবন।
বিধানসভার ভোটের পর বছরখানেকের মধ্যেই সংখ্যা-সঙ্কটে কর্নাটকের কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট সরকার। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে সেই সঙ্কট তীব্রতর হয়। ইতিমধ্যেই জোটের ১৬ জন বিধায়ক ও ২ জন নির্দল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে, সংখ্যার বিচারে সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে কুমারস্বামীর সরকার। ২২৫ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপির কাছে ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার ওই ১৬ জনের ইস্তফা গ্রহণ করলে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। কারণ, ১৬ জন বিধায়ক ও ২ জন নির্দলের ইস্তফার ফলে জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা ১১৮ থেকে ১০০-য় নেমে যাবে।
১১ অগস্ট গরুপাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরো পড়ুন
গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের দশম তলব এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আরো পড়ুন
সোমবার কলকাতা গেলেও সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। আরো পড়ুন
টাকা তাঁর নয়। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আরো পড়ুন
রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল। একথা নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আরো পড়ুন