মরসুম শুরু হওয়ার আগেই ধাক্কা ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি জানিয়ে দিল, এটিকে-তেই খেলবেন জবি জাস্টিন।
গত মরসুমে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে আই লিগে খেলার সময়ই এটিকে-র তিন বছরের চুক্তিতে সই করেন কেরল স্ট্রাইকার। লাল-হলুদ শিবিরের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়, ইস্টবেঙ্গলে থাকতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন জবি। ভারতীয় দলের স্ট্রাইকার অবশ্য প্রথম থেকেই সেই দাবি উড়িয়ে দেন। তিনি জানান, নিয়ম মেনেই এটিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এআইএফএফ ও আইএফএ-র দ্বারস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। জবির চিঠি পাঠানো হয় হস্তলিপি বিশারদের কাছে। চিঠিতে জবিই সই করেছেন বলে রিপোর্ট দেন সেই বিশেষজ্ঞ। এর পরেই আইএফএ-র প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি জানিয়ে দেয়, ইস্টবেঙ্গলেই খেলতে হবে জবিকে। এই পরিস্থিতিতে কেরল স্ট্রাইকার এআইএফএফ-র দ্বারস্থ হন। লিখিত আবেদন করেন সমস্যা সমাধানের জন্য। জুন মাসে তিনি ফেডারেশনকে লেখেন, ‘‘এটিকের তিন বছরের চুক্তিতে সই করেছি। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আমার চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে ৩১ মে। এর পরে আর কোনও চুক্তিতে আমি সই করিনি। আমার পুরনো ক্লাব ইস্টবেঙ্গলকে অনুরোধ করেছি, এটিকে-তে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিতে। অথচ এখনও পর্যন্ত তা আমি পাইনি।’’ এখানেই শেষ নয়। আইএফএ-র সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে জবি লেখেন, ‘‘এপ্রিল মাসে আমার এজেন্টকে নিয়ে আইএফএ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। পরে সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, সচিব জানিয়েছেন, আমাকে ইস্টবেঙ্গলেই খেলতে হবে। শপথ করে বলছি, আমি এটিকের সঙ্গেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সেখানেই খেলতে চাই।’’ এর পরেই ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়, জবির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির সদস্যেরা। প্রত্যাশা মতোই তাঁরা খারিজ করে দিলেন আইএফএ-র রায়।
ফেডারেশনের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি শেষ হওয়ার ছ’মাস আগে ফুটবলারেরা অন্য ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন। এ-ক্ষেত্রে নিয়ম মেনেই এটিকের চুক্তিতে সই করেছেন জবি। ফলে ওঁর আইএসএলে খেলতে কোনও সমস্যা নেই।’’
জবির সই বিতর্ক মিটলেও গত বারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফসি-র মিডফিল্ডার নেস্তর গর্দিলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিয়ম না মেনে পুণে সিটি এফসি-র প্রাক-চুক্তিতে সই করেছেন। নেস্তরের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ফের আলোচনায় বসবেন প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির সদস্যেরা।
ক্রীড়ামন্ত্রীর আশ্বাস: ভারতীয় ফুটবলকে সাহায্য করতে এ বার এগিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য বাড়তি আর্থিক সাহায্য করতেও তিনি তৈরি। বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি ভারতের পুরষ ও মহিলা ফুটবল দল তাদের খেলায় দারুণ উন্নতি করেছে। এই কারণেই প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারের অনুসন্ধান থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়তি আর্থিক সাহায্য করতে চায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক।’’
হাতে আর তিন মাসও সময় বাকি নেই। আরো পড়ুন
ভারোত্তোলনে অল্পের জন্য সোনা জিততে পারেননি সঙ্কেত সরগর। আরো পড়ুন
বাংলার প্রথম মহিলা সাইক্লিস্ট হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে অভিষেক স্মরণীয় হল না ত্রিয়াশা পালের। আরো পড়ুন
লিয়েন্ডার পেজকে সম্মান দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আরো পড়ুন
শুক্রবার ভোরে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছেন নীরজ চোপড়া। আরো পড়ুন
১৪ বছর হয়ে গেল তিনি খেলা ছেড়ে শিক্ষক। সেই শিক্ষক পুল্লেলা গোপীচন্দের আর একটু উত্তরণ হল। আরো পড়ুন
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ব্যর্থ বিরাট কোহলী। পঞ্চম টেস্টের দু’ইনিংস মিলিয়ে ৩১, দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২, দু’টি এক দিনের ম্যাচে ৩৩ রান করেছেন তিনি। আরো পড়ুন
কমনওয়েলথ গেমসের আগে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার অভিযানের প্রথম ধাপে সফল হলেন পি ভি সিন্ধু। আরো পড়ুন