ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। সব্যসাচী দত্তকে মেয়র পদ থেকে সরানোর জন্য যে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে বৃহস্পতিবার আস্থাভোট হবে না বিধাননগর পুর নিগমের।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রায় সওয়া দু’ঘন্টার শুনানির পর রায় দান স্থগিত রাখেন। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি রায় দেন। তিনি তাঁর রায়ে জানান যে প্রক্রিয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে এবং নোটিস দেওয়া হয়েছে সব্যসাচীকে তা সঠিক নয়। তাঁকে ফের নোটিস দেওয়া যেতে পারে। তবে পুর কমিশনার নন, পুরসভার চেয়ার পার্সন সেই নোটিস ইস্যু করতে পারেন।
এর আগে এ দিন নোটিসের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন সব্যসাচী দত্তের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি পুর আইনের উল্লেখ করে বলেন, যে ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে এবং যে ভাবে পুর কমিশনার নোটিস ইস্যু করেছেন তা আইনের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষে সাংসদ এবং আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোতপাধ্যায় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্যের বিরোধিতা করে দাবি করেন, আইন মেনেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
এর আগে, সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে পুর নিগমের কাউন্সিলররা অনাস্থা আনলে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বর্তমান মেয়র সব্যসাচী। তিনি তাঁর আবেদনে জানান, কাউন্সিলরদের ভয় দেখিয়ে ওই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করানো হয়েছে এবং পুর কমিশনারের দেওয়া নোটিস বৈধ নয় বলে দাবি করেন সব্যসাচী।
সব্যসাচী অনাস্থা প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেলে, বিচারপতির নির্দেশেই সোমবার ওই মামলায় যুক্ত করা হয় পুরনিগমের চেয়ার পার্সেন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নাম। দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৮ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে সেই অনাস্থার ভোটাভুটি হবে না বৃহস্পতিবার।
সব্যসাচী দত্তের আইনজীবীদের অন্যতম অনিন্দ্য লাহিড়ি বলেন, ‘‘আদালত এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অনাস্থা আনার প্রক্রিয়া বৈধ ছিল না। তাই খারিজ করেছে ওই অনাস্থা প্রস্তাবকে।”
অন্যদিকে সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে এই মুহূর্তে এ বিষয় নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না। তবে আইনদজীবীদের একটি অংশের ধারণা, আদালত ফের নোটিস দেওয়ার অনুমতি দিলেও সব্যসাচীর কাছে আরও আইনি অস্ত্র রয়েছে অনাস্থা ঠেকানোর।
গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের দশম তলব এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আরো পড়ুন
সোমবার কলকাতা গেলেও সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। আরো পড়ুন
টাকা তাঁর নয়। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আরো পড়ুন
রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল। একথা নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আরো পড়ুন
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের নথিপত্র। আরো পড়ুন
বৃহস্পতিবার তাঁর মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। আরো পড়ুন
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বান্ধবীর বাড়ি থেকে তাড়া তাড়া টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। আরো পড়ুন