২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৭,৯৪৬ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে (এপ্রিল-জুন) ৬,৫২০ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকির হদিশ পেয়েছেন কর আধিকারিকরা। সম্প্রতি সংসদে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
শুধু করফাঁকি দেওয়াই নয়, জাল ইনভয়েস তৈরি করে গত অর্থবছরে ১১,২৫১ কোটি টাকা এবং এ বছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ২,৮০৫ কোটি টাকা কর ফেরতও নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত বছরে জিএসটি আদায়ের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ না হওয়ার আশঙ্কায় ফেব্রুয়ারি মাসে সংশোধিত বাজেট অনুমানে ওই আদায়ের পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা কমিয়ে আনে অর্থমন্ত্রক। কিন্তু, সেই সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবে পূরণ হয়নি।
ফলে, এ বছর রাজকোষ ঘাটতি বাজেট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ নির্মলা সীতারামন জিএসটি আদায় বাড়াতে বিশেষ জোর দিচ্ছেন। কর আদায় বাড়াতে তাঁর প্রথম লক্ষ্যই হবে করফাঁকি বন্ধ করা। তাই, ব্যবসায়ীদের বিক্রি, জিএসটি রিটার্ন প্রভৃতি ঘেঁটে জোর কদমে তথ্য-তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
জিএসটি শুরুর প্রথম বছরে জাল ইনভয়েস দেখিয়ে মোট ১২.৬৭ কোটি টাকার কর ফেরত নেওয়ার মাত্র পাঁচটি ঘটনার সন্ধান পাওয়া যায়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রথম বছরে মাত্র ১২.৬৭ কোটি টাকার তছরূপ ধরা পড়লেও, দ্বিতীয় বছরে জাল ইনভয়েস (কেনার বিল) দেখিয়ে করফাঁকি দেওয়ার ১,৬২০টি ঘটনার হদিশ মিলেছে, যেখানে মোট ১১,২৫১.২৩ কোটি টাকার করফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
এর পরেও করফাঁকির ঘটনায় ইতি পড়েনি। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসেই জাল বিল তৈরি করে কর ফেরত নেওয়ার ৬৬৬টি ঘটনা সামনে এসেছে। মোট করফাঁকির পরিমাণ ২,৮০৪.৯৮ কোটি টাকা! গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪১ জন ব্যক্তিকে।
জিএসটি শুরু হওয়ার পর ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ৪২৪টি করফাঁকির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ ১,২১৬ কোটি টাকা। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কথায়, ‘এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঠেকাতে কর আধিকারিকরা বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছেন এবং কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের ফিল্ড অফিসারদের ঘটনা রুখতে সতর্ক করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের অধীনে একটি বিশেষ দপ্তর ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টের কাজ দেখভাল করছে। তাদের তৈরি রিপোর্ট স্ক্রুটিনি, হিসাব পরীক্ষা এবং তদন্তের কাজে ব্যবহার করা হয়। জিএসটি ফাঁকি এবং জাল বিল তৈরি করে ট্যাক্স ক্রেডিটের সুবিধা নেওয়া আটকাতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, চলতি বছরের জুন মাসে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ অল্পের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার মাত্রা ছুঁতে পারেনি। ৯৯,৯৩৯ কোটি টাকায় থমকে গিয়েছে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ। তার আগে মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে সরকারের জিএসটি আদেয়র পরিমাণ যথাক্রমে ১.০৬ লক্ষ কোটি টাকা, ১.১৩ লক্ষ কোটি টাকা এবং ১ লক্ষ কোট টাকা ছিল। জিএসটি ফাঁকি রোধ করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। এমনকি আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্রাজ্য পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ই-ওয়ে বিল ফাস্ট্যাগের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
চলতি আর্থিক বছরে রেলের রাজস্ব থেকে আয় বাড়ল। আরো পড়ুন
তিন দিন পরেই শুরু হচ্ছে বছরের শেষ ডিসেম্বর মাস। আরো পড়ুন
অবশেষে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এল পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি। আরো পড়ুন
ভারতীয় সেনার জন্য ভারতে তৈরি রকেট লঞ্চার পিনাকা এ বার কিনতে চাইছে বাইরের দেশগুলিও। আরো পড়ুন
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে সপ্তমী থেকে শহরে হতে পারে বৃষ্টি। আরো পড়ুন
অপেক্ষার অবসান। অবশেষে 4% DA বৃদ্ধি করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। আরো পড়ুন
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের ২৬ দিন কাজের আশ্বাস দিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আরো পড়ুন
রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের (State Government Employee) জন্য সুখবর। আরো পড়ুন
17 সেপ্টেম্বর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। আরো পড়ুন