হিন্দু ধর্মে আছে, গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরুদেব মহেশ্বর/ গুরু সাক্ষাৎ পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরবে নমঃ। অর্থাৎ, জগৎ একদিকে আর গুরু একদিকে। গুরুর কৃপা পেলে সব বাধা পেরিয়ে যাওয়া যায়। তাই ঈশ্বরের আগে পূজিত হন গুরু। শুধু হিন্দু ধর্মে নয়, শিখ ধর্মেও গুরুকে সবার ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে আষাঢ়ের শুক্লপক্ষকে গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। ওই দিন গুরু ভক্তদের কাছে দেবতা জ্ঞানে পূজিত হন।পাঁজি হিসেবে মঙ্গলবার ১৬ জুলাই এবছরের গুরুপূর্ণিমা পালিত হচ্ছে। একই দিনে হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণও।
জেনে নিন গুরুপূর্ণিমার মাহাত্ম্য, চরণামৃত বানানোর বিধি
পুরাণ বলছে, মহাভারতের রচয়িতা এবং বেদের বৈয়াকরণিক মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমায় জন্মেছিলেন। আদিগুরু হিসেবে তাই তাঁর জন্মদিনকেই গুরুপূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়। শুধু মহাভারত নয়, বেদব্যাস ১৮টি পুরাণের রচয়িতা বলেও মানা হয়।
কীভাবে পালন করবেন
গুরুকে স্মরণ করে এদিন সমস্ত আশ্রম, মঠে নামকীর্তন করা হয়। গুরুর জীবনী পাঠ করা হয়। জগতের মঙ্গলকামনা করা হয় গুরুর কাছে। গুরুর চরণে নিজেকে সমর্পণ করে অনেকেই এদিন উপোস করেন বা সারাদিন ফল, দই, মিষ্টি খেয়ে থাকেন। সন্ধেয় গুরুর পুজো, আরতি করে উপোস ভাঙেন।
মন্দিরে, আশ্রমে গুরুর নামে চরণামৃত আর প্রসাদ দেওয়া হয় ভক্তদের। এই দিনে বেশির ভাগ মানুষ নিরামিষ খান। যার মধ্যে থাকে হালুয়া, খিচুড়ি, ছোলা, লাড্ডু, বরফি, গোলাপ জাম, শোনপাপড়ি।
কীভাবে চরণামৃত বানাবেন
পাঁচ রকমের জিনিস দিয়ে চরণামৃত বা পঞ্চামৃত বানানো হয়। পাঁচ উপকরণ লাগে বলে একে পঞ্চামৃতও বলে। এই অমৃত তুল্য পানীয় খেলে নাকি মৃত্যুঞ্জয়ী হওয়া যায়।
৫০০গ্রাম দুধ
এক কাপ দই
৪টি তুলসী পাতা
১ চামচ মধু
১ চামচ গঙ্গাজল
১০০ গুঁড়ো চিনি
১ চামচ চিরঞ্জি
২ চামচ মাখন
১ চামচ ঘি
কীভাবে বানাবেন
একটি পরিষ্কার পাত্র প্রথমে দুধ আর গঙ্গাজল মেশান। তারপর এতে মধু, তুলসীপাতা দিন। দই শেষে দেবেন। পুরোটা ভালোভাবে মিশিয়ে গুঁড়ো চিনি, চিরঞ্জি, মাখন এবং গলানো ঘি দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন ভালো করে। তৈরি গুরুপূর্ণিমার পঞ্চামৃত।
পরিসংখ্যান বলছে সম্প্রতি বিশ্ব জুড়ে ১২টি বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো পড়ুন
ছোট-বড় সকলের জন্যই গরুর দুধ বেশ উপকারী খাবার। আরো পড়ুন
টিফিন নিয়ে খুদেদের বায়নার শেষ নেই! টিফিনে ভালমন্দ খাবার না থাকলেই সেই খাবার আবার ফিরে আসে বাড়িতে। আরো পড়ুন
দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এসে গেল কালীপুজো। আরো পড়ুন
অতিরিক্ত মেদ কিংবা ডায়াবিটিস থেকে মুক্তির সহজ সমাধান হিসাবে অনেকেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন। আরো পড়ুন
আলু খেতে ভালবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আরো পড়ুন
পুজো মানেই ভূরিভোজ। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। আরো পড়ুন
চিংড়ি মাছ খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি হাতে গোনা। আরো পড়ুন
চতুর্থী তিথির অধিষ্ঠাতা দেবতা বা অধিদেবতা গৌরীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণেশ। আরো পড়ুন
ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা সকলেরই জানা। আরো পড়ুন