‘‘শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়ে আমি মীরজাফর হলে তার নাম ইতিহাসে অন্যভাবে আলোকিত হবে৷’’ মেয়র পদে সব্যসাচী দত্ত বিতর্কের মাঝেই পুরনিগম দফতরে বসে জানালেন মেয়র৷
বিধাননগরে দীর্ঘ দিনের নেতা তিনি৷ বিরোধী থাকাকালীনও জিতেছেন পুর প্রতিনিধি পদে৷ এহেন নেতার ভূমিকাতেই শাসক দলের অন্দরে সন্দেহের বাতাবরণ৷ যা তরান্বিত হয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মন্তব্যে৷ দলের আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গে সব্যসাচী দত্ত অভিযুক্ত৷ এমনকী তাঁকে ‘মীরজাফর, বেইমান’ বলেও কটাক্ষ করেছেন ফিরহাদ হাকিম৷ এরপরও কি মেয়র পদে থাকবেন তিনি?
সব্যসাচী দত্তের জবাব, ‘‘আমাকে অনেক মন্ত্রী সকাল থেকে ফোন করেছেন৷ কিন্তু কেউ পদ ছাড়তে বলেননি৷ পুর প্রতিনিধিকে প্রথমে মানুষ, তারপর মেয়র হিসাবে আমাকে পুর-প্রতিনিধিরা নির্বাচিত করেছেন৷ তাই নির্দেশ না এলে এনিয়ে ভাবার প্রশ্নই নেই৷’’ সেক্ষেত্রে ভোটাভুটি হলে? মেয়র জানান, ‘‘সেদিন দেখতে পাবেন, ক’জন কাউন্সিলর আমার সঙ্গে রয়েছেন৷’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে পদত্যাগের জন্য সব্যসাচী দত্তকে বলা হবে৷ কাজ না হলে মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবেন দলীয় কাউন্সিলররা৷ দলীয় নির্দেশ পৌঁছতে মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি শাসক শিবিরের৷ কিন্তু, সেই দাবি উড়িয়ে মেয়রের বক্তব্য, ‘‘ফোনে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে৷ নানা কথা৷ কিন্তু এসব নিয়ে কোনও কথা হয়নি৷’’ তাঁর ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, ‘‘কে কোন পদে থাকবে সময় তা বলবে৷’’ যা আদতে তাঁর নিজের দলের নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে৷
যদিও মন্ত্রীর দাবি তাঁর নাম কেন উঠে এল বুঝতে পারছেন না৷ মেয়রের দাবির প্রেক্ষিতে রাজীববাবুর উত্তর, ‘‘আমার সঙ্গে ওঁর কয়েকমাস আগে কথা হয়েছে৷ এর মধ্যে কথা হয়নি৷’’ তাহলে কী দলের উপর চাপ বাড়াতেই কৌশলী বিধাননগরের মেয়র? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
দল বিরোধী কাজে ডানা ছাঁটা হয়েছে মেয়রের৷ ফিরহাদ হাকিম রবিবারই জানিয়ে দেন, আপাতত পুরনিগমের কাজ দেখবেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়৷ এদিন দুপুরে বিধাননগর পুরনিগমের বেশ কয়েকজন এমআইসিকে নিয়ে বৈঠকও করেন তাপসবাবু৷ মেয়রের কাজ নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি৷ পালটা দিতে ছাড়েননি সব্যসাচী দত্তও৷ ডেপুটি মেয়রের সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগদান ও পরে সেখানে এসে তাঁর ভূমিকাকে পোলভল্টের সঙ্গে তুলনা করেন৷
মেয়রের সাফ ঘোষণা, ‘‘আমার আচরণে কেই ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ পেয়ে থাকলে লিখিত আকারে আমার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হোক৷ আমি উত্তর দেব৷ দল কিছু বললেও একই পদ্ধতি মেনে হলে জবাব দিতে কোনও অসুবিধে নেই৷’’
সাংবাদিক বৈঠক শেষে মেয়র হাজির হন বিধাননগরের চেয়ারপার্সনের ঘরে৷ সেখানে সাংবাদিকদের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, ‘‘দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে৷ কিন্তু, এখন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ রাজনীতিতে কূটনীতি থাকবেই৷ সৌজন্য দিয়ে রাজনীতি হয় না৷ আর কোন পরিষেবাই কোনওদিন আটকে ছিল না৷’’
নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে পৌঁছছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরো পড়ুন
মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ। পরীক্ষা শেষের ৭৬ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফল। আরো পড়ুন
অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিলের পর ববিতা সরকারের চাকরিও বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আরো পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না। এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরো পড়ুন
বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে মারধর করে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার ময়নার বাকচা। আরো পড়ুন
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আরো পড়ুন
জেলে ঢোকার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল ফোলা ছিল। আরো পড়ুন
বিজেপিতে ফিরতে দিল্লিতে গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন মুকুল রায়। আরো পড়ুন