নিম্ন আদালতের এক বিচারকের বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার আদেশ বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের কাজে এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে তাঁকে ওই বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রশাসন।মিন্টু মল্লিক,নামে ওই বিচারক ও শিয়ালদহ আদালতের রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে যথাক্রমে ২০০৭ ও ২০১৩ তে সাসপেন্ড করা হয়, একজন ট্রেনের চালক ও গার্ডের রোজকার বিলম্বের জন্যে তাঁদের শাস্তি দেওয়ায় ওই বিচারক ও রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধ্যতামূলক অবসরের নির্দেশ দেওয়া হয়।কলকাতা হাইকোর্টে সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভ্র ঘোষের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বাধ্যতমূলক অবসর নেওয়ার ওই নির্দেশকে “অনৈতিক” এবং “হতাশাজনক”আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করার কথা বলেন। পাশাপাশি আদালতের প্রশাসনকে ওই ঘটনার জন্যে আবেদনকারীকে ১ লক্ষ টাকা অর্থ দেওয়ারও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।আদালতের পক্ষ থেকে একথাও বলা হয় যে বিচারবিভাগের আধিকারিককে রেলের কর্মীদের করা অপমান থেকে বাঁচানোর বদলে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকেই পালটা দোষী সাব্যস্ত করা হয়।সেসময় রেলের চালক ও গার্ডের কাজের বিষয়ে ওই বিচারপতির হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে কিছু সংখ্যক রেলওয়ে কর্মীরা শিয়ালদহ স্টেশনে বিক্ষোভও দেখান।
বহিষ্কৃত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অবিলম্বে তাঁর পদে পুনর্বহাল করার এবং আবেদনকারীকে তাঁর কর্মজীবনে কোনও ছেদ ছাড়াই পরিষেবা দেওয়ার জন্যে নির্দেশ দেয় আদালত। ২০০৭ এর ৫ মে,মল্লিক বজবজ-শিয়ালদহ রুটের একটি স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। তখনই তিনি দেখেন সেই সময় ট্রেন নির্ধারিত সময়ের পরে চলছে।তিনি দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেনস থেকে কর্মক্ষেত্র আদালতে যাওয়ার জন্যে সেই সময় স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন।
সেসময় ওই বিচারক নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন বজবজ-শিয়ালদহ রুটের ট্রেন প্রায় সময়েই অস্বাভাবিক দেরিতে চলে।এরপরেই ট্রেন ওই স্টেশনে আসার পর তিনি চালকের কেবিনে উঠে ট্রেন নিয়মিত দেরিতে চলার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।সন্তুষ্টজনক উত্তর না পেয়ে ওই বিচারক ট্রেনের চালক ও গার্ডকে শিয়ালদহের রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ট্রেনের চালক ও গার্ড যাতে রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঠিক সময়ে হাজিরা দেন সে বিষয়টি দেখার জন্যেও শিয়ালদহ স্টেশনের পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক মল্লিক।
পরে ট্রেনের চালক ও গার্ড আদালতের কাছে তাঁদের রিপোর্ট জমা করলেও রেলের কিছু কর্মী আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ও আপত্তিজনক কথাবার্তা বলেন।এরপর শিয়ালদহতে ওই কর্মীদের বিক্ষোভ আন্দোলনের জন্যে প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা।
আদালতের নির্দেশে ২০০৭ এর ওই ঘটনার তদন্ত হয়, এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মিন্টু মল্লিক নামে ওই বিচারককে সাসপেন্ড করা হয়।পরে তদন্তের শেষে হাইকোর্টের প্রশাসনিক কমিটি ২০১৩ তে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণের নির্দেশ দেয়।
ওই বিচারক রাজ্যপালের কাছে
আদালতের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করলেও তা গ্রহণ করা হয়
নি।তখনই ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে আবেদন করেন
মিন্টু মল্লিক।এরপরেই তাঁর আবেদন বিবেচনা করে মিন্টু মল্লিকের বাধ্যতামূলক অবসর
গ্রহণের নির্দেশকে খারিজ করে আদালত।
১১ অগস্ট গরুপাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরো পড়ুন
গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের দশম তলব এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আরো পড়ুন
সোমবার কলকাতা গেলেও সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। আরো পড়ুন
টাকা তাঁর নয়। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আরো পড়ুন
রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল। একথা নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আরো পড়ুন