গত সপ্তাহে লোকসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেখানে তাঁর উল্লেখ করা ফ্যাসিবাদের সাতটি লক্ষণ, গত সপ্তাহেই ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর বক্তব্যের কপি নকল করা বলে অভিযোগ ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। “ভয়ঙ্কর আতঙ্ক” প্রকাশ করে বিজেপির “ট্রোল আর্মি” এবং “শাসকদলের অনুগত থাকা সংবাদমাধ্যমের একাংশের” বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। ওয়াশিংটন মান্থলির তরফে ট্যুইট করে দাবি করা হয়, “ফ্যাসিবাদের ১২টি অগ্রিম লক্ষণ” শীর্ষক যে আর্টিকেলটি তারা প্রকাশ করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে, সেখান থেকেই বক্তব্যের অংশ তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, যে পোস্টারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি কথাটি বলেছেন, আর্টিকেলে সেটিকেই উদ্ধৃত করা হয়েছে। একটি বিবৃতিতে কৃষ্ণনগরের এই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “সেটাই নকল করা বা চুরি করা হয়, যখন কেউ সূত্রের কথা না বলেন। আমার বক্তৃতায় আমি সূত্র উল্লেখ করেছি, ফ্যাসিবাদের ১৪টি অগ্রিম লক্ষণ সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডঃ লয়ারেন্স ডব্লু ব্রিটের পোস্টারের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছি। আমি ভারতে ৭টি লক্ষণ প্রাসঙ্গিক মনে করেছি এবং সেগুলি বিস্তারিতভাবে বলেছি”।
তিনি আরও বলেন, “আমার বক্তব্য আমার হৃদয় থেকে এসেছে এবং প্রত্যেক ভারতীয় যাঁরা এটি শেয়ার করেছেন, তাঁরাও মন থেকেই করেছেন। আমি আবার বলছি… “বাঁধনে মুঝে তু আয়া হ্যায়, জঞ্জীর বড়ি ক্যায়া লায়া হ্যায়”।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য রাখেন ২৫ জুন। তাঁর সেই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রথমবার সাংসদ হলেন মহুয়া মৈত্র, আগে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন তিনি। নিজের বক্তব্যে মহুয়া মৈত্র বলেন, তিনি যখন “বিনম্র চিত্তে” বিজেপির প্রতি মানুষের রায় মেনে নিয়েছেন, সুতরাং, বিরোধীদের বক্তব্যও তাদের শুনতে হবে।
মহুয়া মৈত্রের কথায়, “আপনি বলতেই পারেন, আচ্ছে দিন এসেছে, এবং ভারতের শাসকের সূর্য কখনই অস্ত যাবেন না, এমনটাই চায় সরকার। তবে আপনি লক্ষণগুলি ভুলে যাচ্ছেন। যদি আপনি চোখ খোলা রাখেন, আপনি দেখতে পাবেন, দেশে যথেষ্ট বিচ্ছিন্নতা রয়েছে”।
১১ অগস্ট গরুপাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আরো পড়ুন
গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের দশম তলব এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আরো পড়ুন
সোমবার কলকাতা গেলেও সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে যাননি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। আরো পড়ুন
টাকা তাঁর নয়। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আরো পড়ুন
রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল। একথা নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আরো পড়ুন