প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ ভাসছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ চলছেই। আর এই উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই। জেনে নিন এমন ৭টি ঘরোয়া উপায়, যেগুলির সাহায্যে অনায়াসেই ঘামাচি সারিয়ে ফেলা যায়…
১) আলুর রস ঘামাচির সমস্যার সমাধানে একেবারে অব্যর্থ। পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে মিনিট পাঁচেক ঘষুন। এ ভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
২) অ্যালোভেরার রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত র্যাশ, চুলকানিতে অ্যালোভেরার রস অত্যন্ত কার্যকরী। ঘামাচির সমস্যায় অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার রস ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে দিন। এ ভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকে অ্যালোভেরার রস মাখতে পারলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে।
৩) ঘামাচি সারাতে ছোলার ডাল বাটা একেবারে অব্যর্থ। সারা রাত ছোলার ডাল জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভাল করে বেটে নিন। এ বার ওই ডাল বাটা ঘামাচির ওপর লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
৪) মসুর ডাল বাটার সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখলেও ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে। কমে যাবে চুলকানিও।
৫) ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যায় মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখুন উপকার পাবেন। ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে কয়েক ১ চামচ গোলাপজল আর আধা কাপ জল দিয়ে প্রথমে পেস্ট তৈরি করুন। এ বার ওই পেস্ট ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট কুড়ি রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
৬) বেসন, গোলাপজল আর মধু– এই ৩ উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট কুড়ি পর ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ঘষে তুলে ফেলুন। দেখবেন, ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
৭) ঘামাচির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজে লাগাতে পারেন বরফ বা আইস কিউব। পাতলা সুতির কাপড়ে ৩-৪ টুকরো বরফ নিয়ে একসঙ্গে বেঁধে ফেলুন। এ বার ওই বরফের পুঁটলি আলতো করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে বুলিয়ে নিন বা একটু একটু করে চেপে ধরুন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এমন করতে পারলে ঘামাচির সমস্যায় ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো।
পরিসংখ্যান বলছে সম্প্রতি বিশ্ব জুড়ে ১২টি বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো পড়ুন
ছোট-বড় সকলের জন্যই গরুর দুধ বেশ উপকারী খাবার। আরো পড়ুন
টিফিন নিয়ে খুদেদের বায়নার শেষ নেই! টিফিনে ভালমন্দ খাবার না থাকলেই সেই খাবার আবার ফিরে আসে বাড়িতে। আরো পড়ুন
দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এসে গেল কালীপুজো। আরো পড়ুন
অতিরিক্ত মেদ কিংবা ডায়াবিটিস থেকে মুক্তির সহজ সমাধান হিসাবে অনেকেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন। আরো পড়ুন
আলু খেতে ভালবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আরো পড়ুন
পুজো মানেই ভূরিভোজ। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। আরো পড়ুন
চিংড়ি মাছ খেতে ভালবাসেন না এমন বাঙালি হাতে গোনা। আরো পড়ুন
চতুর্থী তিথির অধিষ্ঠাতা দেবতা বা অধিদেবতা গৌরীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণেশ। আরো পড়ুন
ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা সকলেরই জানা। আরো পড়ুন